দেশটিতে তৈরি করা হয়েছে ‘রোবট রোগী’। এটি যুদ্ধের ময়দানে আহতদের চিকিৎসা ও ভীতি দূর করব।
চীনা সামরিক বাহিনীর মেডিক্যাল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের অংশ হিসেবে রোবট রোগী তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি চীনা সশস্ত্র বাহিনীর সংবাদমাধ্যম পিএলএ ডেইলি এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘ওয়ারিয়র’ নামে মানবসদৃশ রোবটটির রয়েছে স্বয়ংক্রিয় হৃদস্পন্দন ও তিনশ’ ক্ষতসহ ৩০টিরও বেশি সেন্সর। এটি আহতদের মতোই কাঁদবে, চিৎকার করবে ও চিকিৎসা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোবটটির নিজস্ব পালস ও হৃদস্পন্দন রয়েছে। এটি শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া, কাঁশি দেয়া ও চিৎকার করতে পরে। এমনকি এর রক্তচাপও মাপতে পারবেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
এটি দেশটিতে তৈরি প্রথম মেডিক্যাল প্রশিক্ষণ রোবট। চীন এর আগে বিদেশ থেকে এ ধরনের রোবট আমদানি করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করত।
চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞ ঝাও চেনমিং বলেন, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে দক্ষিণ সুদান ও মালিতে কয়েকজন চীনা সেনা সদস্যের মৃত্যুর আগে যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের প্রতি নজর দেয়া হয়নি।
এদিকে দেশটির সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরো আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহৃত হবে। বিষয়টি বিবেচনা করলে সর্বাধুনিক মেডিক্যাল সেবার প্রয়োজন পড়বে।