১ জুলাই থেকে কর না দেওয়া সোনা রুপা হীরা জব্দ

1901

নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে অবৈধ সোনা, ডায়মন্ড ও রুপা বৈধ করতে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপর এনবিআরের টাস্কফোর্স কমিটি ১ জুলাই থেকে দোকানে দোকানে অভিযানে নামবে। এ অভিযানে কর না দেওয়া সোনা, ডায়মন্ড ও রুপা পেল তা জব্দ করা হবে।

এ ক্ষেত্রে এনবিআরের কোষাগারে কর হিসাবে প্রতি ভরি সোনা বৈধ করতে এক হাজার টাকা, কাট ও পলিশড ডায়মন্ডের জন্য ক্যারেটপ্রতি ছয় হাজার টাকা, প্রতি ভরি রুপার জন্য ৫০ টাকা জমা দিতে হবে।

আজ রবিবার থেকে দেশব্যাপী সোনা কর মেলা শুরু হচ্ছে। রাজধানী ও চট্টগ্রামে ২৫ জুন পর্যন্ত চলবে এই মেলা। অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ২৪ ও ২৫ জুন হবে মেলা। ঢাকার জন্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, চট্টগ্রামে পিএইচপি ভবন, খুলনায় খুলনা কর অঞ্চল, সিলেটে ক্রিস্টাল হল, রাজশাহীতে চেম্বার অব কমার্স ভবন, রংপুরে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ময়মনসিংহে পার্টি সেন্টার হোটেল, বরিশালে হোটেল গ্রান্ড পার্কে নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসায়ীরা গচ্ছিত থাকা অবৈধ সোনা, ডায়মন্ড ও রুপা বৈধ করতে পারবেন। এসব জায়গায় এনবিআর কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলে গিয়েও ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা।

আজ রাজধানীতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গ্র্যান্ড বলরুমে সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সোনা কর মেলায় উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা শুধু সোনা, রুপা ও ডায়মন্ড বৈধ করার সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সহসভাপতি দিলীপ কুমার আগরওয়াল বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ী তিনি অবশ্যই কোনো না কোনো সংগঠনের সদস্য। সংগঠনের বাইরে কোনো ব্যক্তি কর দিতে এলে তাঁকে সোনা, রুপা বা ডায়মন্ড বৈধ করার সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। ৩০ জুনের মধ্যে যেকোনো ব্যক্তি তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে আমাদের সংগঠনের সদস্য হয়ে সোনা, রুপা বা ডায়মন্ড বৈধ করতে পারবেন। শনিবারও প্রায় ৫০ জন সোনা ব্যবসায়ী আমাদের সংগঠনের সদস্য হয়েছেন।’

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে সোনা, রুপা বা ডায়মন্ড কর দিয়ে বৈধ করে নিতে হবে। সোনা ব্যবসা এ দেশের অর্থনীতির জন্য সম্ভাবনাময় খাত। যুগ যুগ ধরে এ ব্যবসা চলে আসছে। আইনের মধ্যে থেকে সোনা ব্যবসায় উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সূত্র জানায়, ভ্যাট নিবন্ধিত ১৫ হাজার সোনা ব্যবসায়ী কর দিলে সরকারের রাজস্ব আদায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি হবে।

এনবিআর সূত্র জানায়, দেশে দৈনিক ১০ কোটি টাকার সোনার বাজার রয়েছে। অথচ গত পাঁচ-সাত বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিয়ে এলসি খুলে এক তোলা সোনাও আমদানি করা হয়নি। চোরাই পথে আনা সোনায় নির্ভর করে দেশে সোনা ব্যবসা চলছে। একই সঙ্গে ব্যাগেজ রুলে আনা সোনাও স্থানীয় বাজারের চাহিদার কিছু অংশ পূরণ করছে। সরকার সোনার ব্যবসাকে আইনি কাঠামোয় আনতে এসব উদ্যোগ নিয়েছে।

সুত্র – কালের কণ্ঠ