ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল মাদ্রাসাছাত্রীকে

1475

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের আলামত পেয়েছি এবং নমুনা সংগ্রহ করে প্যাথোলজিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশন  ওয়াসা ফিটের পূর্ব পাশে একটি পরিত্যক্ত বগির বাথরুমের ভেতর থেকে আসমা আকতার (১৭) নামে ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর)  থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর  বলেন, ‘তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলার চারপাশে কালো গোলাকৃতির দাগ এবং কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কীভাবে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বা মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলার কোনপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। আসমা কমলাপুর খানবাহাদুর মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে।

আসমার চাচা রাজু আহমেদ বলেন, ‘আসমা রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। সোমবার সংবাদ পেয়ে এসে লাশ শনাক্ত করি। বাঁধন নামে এক যুবক তাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। বাঁধনও একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। আসমা নিখোঁজের পর থেকে ছেলেটিকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবার থেকে ধারণা করা হচ্ছে। বাঁধনই তাকে হত্যা করেছে।’