ঈদুল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। রাত-দিন টুংটাং শব্দে মুখরিত শরীয়তপুরের কামারপাড়াগুলো।
পোড়া কয়লার গন্ধ, হাপরের হাঁসফাঁস, আগুনের শিখা আর হাতুড়ের টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে চকচকে ধারালো দা, বটি, চাপাতি, ছুরিসহ নানা উপকরণ।
জেলার কাগদী, পাকারমাথা, উত্তর পালং, আংগারিয়া, বুরিরহাট, ডোমসার, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগজ্ঞ, সখিপুর, ডামুড্যা গোসাইরহাট এলাকায় দা, ছুরি, চাকুসহ নানা উপকরণ তৈরি ও বিক্রিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা।
উপজেলার কামারপট্টি দোকানি আবু তাহের জানান, ঈদ আসার এক মাস আগেই আমাদের বেচা-কেনা বেড়ে যায়। কিন্তু চায়না কোম্পানির বিভিন্ন উপকরণ বাজারে সয়লাব হওয়ায় ক্রেতারা দেশীয় উপকরণের দিকে আগ্রহ কম হওয়ায় বেচা-কেনা গত বছরের চেয়ে কম। এর ওপর কর্মচারীদের মজুরি, লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ একটু কম। স্প্রিং লোহার তৈরি উপকরণ মানও ভালো, দামও বেশি।
কামার সুশান কর্মকার জানান, লোহার গুণগত মান অনুযায়ী ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতি চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, চামড়া তোলার ছু্রি ১শ’ থেকে ২৫০ টাকা, জবাই করার ছুরি ৩শ’ থেকে ১২শ’ টাকা। ছুরি ধার করার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা, দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা।
কাগদী এলাকার কামার নিরঞ্জন কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদ এলেই ব্যস্ততা বেশি থাকে। ঈদ কাছাকাছি এলে বেশি থাকে ক্রেতার চাপ। তবে গতবারের তুলনায় এবার একটু দাম বেশি।