ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ওপর কোরবানির যে হুকুম

1734

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কোরবানি দিতে পারবেন?

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক কিন্তু ঋণগ্রস্ত। তাহলে ঋণের কারণে তার কোরবানির হুকুম কী? এ ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনাই বা কী? এ ব্যাপারে ইসলামি স্কলাররা সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।

কোনো ব্যক্তির জন্য যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব বা আবশ্যক। সে পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তার কোরবানি দেয়া আবশ্যক কীনা তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির অবস্থার ওপর। 

আর তাহলো-
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে দেখতে হবে- ঋণের পরিমাণ কত? কেননা ঋণ পরিশোধ করে দিলে যে সম্পদ থাকবে, তা কী নেসাব পরিমাণ হবে?

> যদি ঋণ পরিশোধ করে দিলে কোরবানির সময়ে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক নয়।

আর যদি ঋণ পরিশোধ করে দিলেও কোরবানির সময়ে সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক।

মনে রাখতে হবে, নেসাব পরিমাণ সম্পদ সারাবছর গচ্ছিত বা জমা থাকা আবশ্যক নয়। বরং কোরবানির দিনগুলোতে যদি কারো কাছে ঋণ ও বাৎসরিক খরচ মেটানোর পর অতিরিক্ত অর্থ থাকে তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে। আর তাহলো সাড়ে ৭ ভরি সোনা ও সাড়ে ৫২ ভরি রূপা।

সুতরাং নূন্যতম যার কাছে ৫৫ হাজারের বেশি টাকা অতিরিক্ত থাকবে তার ওপর কোরবানি দেয়া ওয়াজিব।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের যথাযথভাবে বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।