ইসলামে মদ, জুয়া, বেদী, ভাগ্য নির্ধারক শর নিষিদ্ধ (পর্ব-২)

1481

‘মদ, জুয়া, পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারক শর সমূহ শয়তানের নাপাক কর্ম বৈ কিছুই নয়।’ (কোরআন)। (সূরা: মায়েদাহ, আয়াত: ৯০)

প্রথম পর্বের পর থেকে-

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রা.) এর বর্ণনায় এসেছে, মদ সম্পর্কে তিনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে বলেন, اللهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِى الْخَمْرِ بَيَانًا شَافِيًا ‘হে আল্লাহ! আমদেরকে মদ সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিন’। পরে বাক্বারাহ ২১৯ আয়াত নাজিল হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে ডেকে আয়াতটি শুনিয়ে দেন। তখন ওমর (রাঃ) পুনরায় পূর্বের ন্যায় দোয়া করেন। তখন নিসা ৪৩ আয়াতটি নাজিল হয়। তখন পূর্বের ন্যায় রাসূল (সা.) তাকে ডেকে আনেন ও আয়াতটি শুনিয়ে দেন। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) পুনরায় পূর্বের ন্যায় দোয়া করেন। তখন মায়েদাহ ৯০-৯১ আয়াতদ্বয় নাজিল হয়। তখন হজরত ওমর (রা.)-কে ডেকে এনে রাসূলুল্লাহ (সা.) তা শুনিয়ে দেন। এবারে তিনি খুশী হয়ে বলে ওঠেন, انْتَهَيْنَا ‘এখন আমরা বিরত হলাম’ (অর্থাৎ আর দাবী করব না)। (আবুদাঊদ হা/৩৬৭০; তিরমিযী হা/৩০৪৯; সহীহাহ হা/২৩৪৮; আওনুল মা‘বূদ হা/৩৬৫৩ ‘পানীয় সমূহ’ অধ্যায়)। আবু মায়সারাহ বলেন, মদ নিষিদ্ধের আয়াত নাজিল হয়েছিল ওমর (রা.)-এর কারণে (কুরতুবী, মায়েদাহ ৯০)।

ত্বীবী (রহ.) বলেন, সূরা মায়েদাহর অত্র আয়াতে মদ নিষিদ্ধের পক্ষে ৭টি দলীল রয়েছে-

(১) মদকে رِجْسٌ বলা হয়েছে। যার অর্থ নাপাক বস্ত্ত (২) একেمِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ  বা শয়তানী কাজ বলা হয়েছে, যা করা নিষিদ্ধ (৩) বলা হয়েছে فَاجْتَنِبُوهُ ‘তোমরা এ থেকে বিরত হও’। আল্লাহ যা থেকে বিরত থাকতে বলেন, তা নিঃসন্দেহে হারাম (৪) বলা হয়েছে لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ‘যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও’। অর্থাৎ যা থেকে বিরত থাকার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে, তা অবশ্যই নিষিদ্ধ (৫) إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ‘শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায়’। অর্থাৎ যার মাধ্যমে এগুলো সৃষ্টি হয়, তা নিঃসন্দেহে হারাম (৬) বলা হয়েছে, وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلاَةِ ‘আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বিরত রাখে’। এক্ষণে যার মাধ্যমে শয়তান এই দুষ্কর্মগুলো করে, তা অবশ্যই নিষিদ্ধ (৭) فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ ‘অতএব তোমরা কী নিবৃত্ত হবে’? অর্থ انتهوا ‘তোমরা নিবৃত্ত হও’। অতএব আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের যে কাজ হতে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে হারাম’।  (আওনুল মা‘বূদ হা/৩৬৫৩-এর ব্যাখ্যা)।

উল্লেখ্য যে, নিসা ৪৩ আয়াতটির শানে নুযূলে হজরত আলী (রা.) সূরা কাফিরূণ যোগ-বিয়োগ করে পড়েছিলেন বলে যে বর্ণনা এসেছে, তাতে সনদ ও মতন দু’ক্ষেত্রেই পরস্পর বিরোধিতা রয়েছে। যেমন মুনযেরী বলেন, অন্য সনদে এসেছে যে, সুফিয়ান সওরী এবং আবু জাফর রাযী আত্বা ইবনুস সায়েব হতে বর্ণনা করেছেন। অথচ এখানে এসেছে, সুফিয়ান সওবী আত্বা ইবনুস সায়েব থেকে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর মতনে ইখতেলাফ এই যে, আবুদাঊদের বর্ণনায় (হা/৩৬৭১) এসেছে যে, আলী ও আব্দুর রহমান বিন আওফকে জনৈক আনছার ছাহাবী দাওয়াত দেন। অতঃপর খানাপিনা শেষে হজরত আলী (রা.) মাগরিবের সালাতে ইমামতি করেন ও সূরা কাফেরূণে ভুল করেন। অন্যদিকে তিরমিযীর বর্ণনায় (হা/৩০২৬) এসেছে, আব্দুর রহমান বিন আওফ আলী (রা.)-কে দাওয়াত দেন। যেখানে তাকে ইমামতিকে এগিয়ে দেয়া হয় এবং তিনি সূরা কাফেরূণে যোগ-বিয়োগ পড়েন। নাসাঈতে এসেছে ইমামতি করেন আব্দুর রহমান বিন আওফ (রা.)। আবুবকর আল-বাযযার এর বর্ণনায় এসেছে, তারা জনৈক ব্যক্তিকে নির্দেশ দেন ও তিনি সালাতে ইমামতি করেন। বর্ণনায় উক্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অন্য হাদিসেছ এসেছে فَتَقَدَّمَ بَعْضُ الْقَوْمِ فَصَلَّى بِهِمْ ‘কওমের জনৈক ব্যক্তি এগিয়ে যান ও ইমামতি করেন’। (আওনুল মা‘বূদ হা/৩৬৫৪-এর ব্যাখ্যা)।

ইবনু জারীরের বর্ণনায় এসেছে, আব্দুর রহমান বিন আওফ ইমামতি করেন এবং আয়াত গোলমাল করে পড়েন أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ- وَأَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ- ‘আমি ইবাদত করি যাদের তোমরা ইবাদত কর এবং তোমরা ইবাদত কর আমি যার ইবাদত করি’।  (ইবনু জারীর হা/৯৫২৫; তাফসীর ইবনু কাছীর, নিসা ৪৩)। হাকেম এর বর্ণনায় এসেছে, হজরত আলী (রা.) বলেন,

دَعَانَا رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْخَمْرِ فَحَضَرَتْ صَلاَةُ الْمَغْرِبِ فَتَقَدَّمَ رَجُلٌ فَقَرَأَ: قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ فَأُلْبِسَ عَلَيْهِ، فَنَزَلَتْ لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ الآية- هذا حديث صحيح ولم يخرجاه- وقال الذهبي : صحيح-

‘আমাদেরকে জনৈক আনসার ব্যক্তি দাওয়াত দেন মদ হারাম হওয়ার পূর্বে। এমন সময় মাগরিবের সালাতের ওয়াক্ত হয়ে যায়। তখন জনৈক ব্যক্তি এগিয়ে যায় ও সালাতে সূরা কাফিরূণ পাঠ করে। কিন্তু তাতে যোগ-বিয়োগ করে। তখন নাজিল হয় সূরা নিসা ৪৩ আয়াতের প্রথমাংশ’। ইমাম হাকেম বলেন, হাদিসটি সহীহ। কিন্তু ইমাম বুখারী ও মুসলিম তা বর্ণনা করেননি’। ইমাম যাহাবীও হাদিসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন’। অতঃপর ইমাম আবু আব্দুল্লাহ হাকেম বলেন,

وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ فَائِدَةٌ كَبِيرَةٌ وَهِيَ أَنَّ الْخَوَارِجَ تَنْسُبُ هَذَا السُّكْرَ وَهَذِهِ الْقِرَاءَةَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ دُونَ غَيْرِهِ وَقَدْ بَرَّأَهُ اللهُ مِنْهَا فَإِنَّهُ رَاوِيُ الْحَدِيْثِ-

‘অত্র হাদিসে বহু উপকারিতা রয়েছে। আর তা এই যে, (আলীর দুশমন) খারেজীরা এই মাতলামি ও এই ক্বিরাআতে যোগ-বিয়োগ হওয়াকে আমীরুল মুমেনীন আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রা.) এর দিকে সম্বন্ধ করে, অন্যের দিকে নয়। অথচ আল্লাহ তাকে এই দোষ থেকে মুক্ত করেছেন। কেননা তিনিই এই হাদিসের রাবী’। (মুস্তাদরাকে হাকেম হা/৩১৯৯, ২/৩০৭ পৃঃ)। অতএব ব্যাপারটিতে হজরত আলী (রা.) বা কোনো একজন সাহাবিকে নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না।

(২) الْمَيْسِرُ অর্থ জুয়া। يَسَرَ يَيْسِرُ يَسْرًا জুয়া খেলা, অনুগত হওয়া, সহজ হওয়া, বাম দিক থেকে আসা ইত্যাদি। يسر لي كذا إذا وجب ওয়াজিব হওয়া। الياسر أي الجازر অর্থ কসাই, গোশত বন্টনকারী।

জাহেলী আরবে নিয়ম ছিল যে, তারা উট জবহ করত। অতঃপর তা ২৮ বা ১০ ভাগ করত। অতঃপর তাতে তীরের মাধ্যমে লটারী করত। কোনো তীর অংশহীন থাকত। কোনো তীরে দুই বা তিন অংশ চিহ্ন দেয়া থাকত। অতঃপর সেগুলো একটা পাত্রে রেখে নাড়াচাড়া করে সেখান থেকে এক একটা তীর বের করে নিতে বলা হত। ফলে যার তীরে বেশি উঠত, সে বেশি অংশ নিত। আর যার তীর অংশবিহীন থাকত, সে খালি হাতে ঋণগ্রস্ত হয়ে ফিরে যেত। (মিছবাহুল লুগাত)।

এভাবে তীর দ্বারা গোশতের অংশ বণ্টন করা থেকেই الياسر হয়েছে। অর্থ اللاعب بالقِداح তীরের মাধ্যমে জুয়া খেলুড়ে বা জুয়াড়ী (কুরতুবী, বাক্বারাহ ২১৯)। বস্ত্ততঃ জুয়ার মাধ্যমে প্রতারণা করে অন্যের মাল সহজে হাসিল করা হয় বলে একে ‘মাইসির’ (الميسر) বলা হয়।

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব বলেন, জাহেলী যুগে উটের গোশতের ভাগ একটি বা দু’টি বকরীর বিনিময়ে বিক্রি হত। যুহরী আরাজ থেকে বর্ণনা করেন যে, মাল ও ফলের ভাগও মানুষ ক্রয় করত ভাগ্য নির্ধারণী তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে’ (তাফসীর ইবনু কাছীর)। ইমাম মালেক (রহ.) সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব হতে বর্ণনা করেন, نَهَى عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِاللَّحْمِ রাসূলুল্লাহ (সা) গোশতের বিনিময়ে পশু বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন’। (মুওয়াত্ত্বা হা/৬৪, সনদ হাসান; বায়হাক্বী ৫/২৯৬, তিনি বলেন, হাদিছটি মুরসাল ছহীহ)।  

ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, ‘মাইসির’ দু’ধরনের। একটি হলো খেলা-ধুলা (اللهو)। অন্যটি হলো, জুয়া (القِمار)। খেলা-ধুলার মাইসির হলো, নারদ (পাশা খেলা), শাতরাঞ্জ (দাবা খেলা) ও সবরকমের খেলা-ধুলা। আর জুয়ার মাইসির হলো, মানুষ যেসব বিষয়ে বাজি ধরে ও জুয়া খেলে। হজরত আলী (রা.) বলেন, শতরঞ্জ বা দাবা খেলা মাইসিরের অন্তর্ভুক্ত (কুরতুবী, ইবনু কাছীর)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيرِ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِى لَحْمِ خِنْزِيرٍ وَدَمِهِ ‘যে ব্যক্তি নারদশীর (পাশা) খেলল, সে যেন শূকরের গোশত ও রক্তের মধ্যে নিজের হাত ডুবালো’। (মুসলিম হা/২২৬০; ইবনু মাজাহ হা/৩৭৬৩; মিশকাত হা/৪৫০০ ‘ছবি সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। তিনি বলেন, مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَرَسُولَهُ ‘যে ব্যক্তি নারদশীর খেলল, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করল’। (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪৫০৫ সনদ হাসান)।

উপরোক্ত খেলা দু’টি পারস্য দেশীয়। যা আরবদের মধ্যে চালু হয়। যাতে জুয়া মিশ্রিত ছিল। ‘মাইসির’ নিষিদ্ধ হওয়ার মূল কারণ হলো জুয়া। যার মাধ্যমে অর্থের লোভে মানুষ ধ্বংসে নিক্ষিপ্ত হয়। এই সঙ্গে অনর্থক খেলা-ধূলাকেও মাইসির এর অন্তর্ভুক্ত বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, খেলা-ধূলা বিষয়ে শরী‘আতের দৃষ্টিভঙ্গি নিম্নরূপ:

(১) হারাম : (ক) যে সম্পর্কে শরীয়াতে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। যেমন- দাবা, পাশা ইত্যাদি (খ) যে খেলায় প্রাণীর ছবি, নাচ-গান ও বাদ্য-বাজনা থাকে (গ) যে খেলা ঝগড়া-বিবাদ ও নোংরামিতে প্ররোচিত করে (ঘ) যে খেলায় অহেতুক অর্থের ও সময়ের অপচয় হয়।

(২) জায়েয : (ক) সৈনিকদের কুচ-কাওয়াজ, অস্ত্র চালনা, তীর নিক্ষেপ ইত্যাদি। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৮৭২‘জিহাদ’ অধ্যায়)। (খ) সাতার কাটা। (ত্বাবারাণী, ছহীহাহ হা/৩১৫)।

(৩) শর্তাধীনে জায়েয : (ক) যদি ওই খেলার সঙ্গে জুয়া যুক্ত না থাকে (খ) যদি ওই খেলা কোনো ফরজ কাজে বাধা না হয়। যেমন সালাত, সিয়াম প্রভৃতি (গ) যদি ওই খেলা কোনো ওয়াজিব কাজে বাধা না হয়। যেমন পিতা-মাতার আনুগত্য, পারিবারিক দায়িত্ব পালন, লেখা-পড়া ও জ্ঞানার্জন প্রভৃতি (ঘ) যদি ওই খেলায় কোনো অপব্যয় না থাকে (ঙ) যদি ওই খেলায় অধিক সময়ের অপচয় না হয় (চ) যদি ওই খেলা ইসলামী শালীনতা বিরোধী না হয়। যেমন হাঁটুর উপরে কাপড় তোলা, মেয়েদের প্রকাশ্যে খেলা করা ইত্যাদি।

স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য দৈনিক কিছু সময়ের জন্য শরীর চর্চা ও নির্দোষ খেলা-ধূলা ইসলামে জায়েয। এতদ্ব্যতীত স্রেফ আনন্দ-ফূর্তির জন্য খেলা-ধূলা ইসলামে অনুমোদিত নয়। আল্লাহ বলেন, الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَهُمْ لَهْوًا وَلَعِبًا وَغَرَّتْهُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا فَالْيَوْمَ نَنْسَاهُمْ كَمَا نَسُوا لِقَاءَ يَوْمِهِمْ هَذَا وَمَا كَانُوا بِآيَاتِنَا يَجْحَدُونَ- ‘যারা নিজেদের দ্বীনকে খেল-তামাশার বস্ত্ততে পরিণত করেছিল এবং পার্থিব জীবন যাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছিল, আজকে আমরা তাদের ভুলে যাব। যেমন তারা এদিনের সাক্ষাতের কথা ভুলে গিয়েছিল এবং তারা আমার আয়াত সমূহকে অস্বীকার করেছিল’ (সূরা আ‘রাফ, আয়াত: ৫১)। চলবে…